বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প
জাহাজ নির্মাণ বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় এবং ক্রমবিকাশমান শিল্প।[১][২] আধুনিক যুগের শুরু থেকে বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণের একটি দীর্ঘ ইতিহাস থাকলেও স্থানীয়ভাবে তৈরি জাহাজ রপ্তানি করার মাধ্যমেই মুলতঃ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাহাজ নির্মাণ একটি প্রধান প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ২০০শ'র মতো জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি রয়েছে যেগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও খুলনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।[৩][৪][৫]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বাংলার নদীমাতৃক ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রয়োজনে জাহাজের ব্যবহার ছিল প্রাচীনকাল থেকেই। চৌদ্দ শতকের সময়ে মরক্কোর পরিব্রাজক ইবনে বতুতার যুদ্ধ জাহাজ ও সৈন্য-সামন্তসহ বাংলার বিভিন্ন বন্দরে আগমণ করেছিলেন। মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় পরিব্রাজক সিজার ফ্রেডেরিক চট্টগ্রাম বন্দরে ১৫ শতকের সময় বড় জাহাজ নির্মাণের একটি হাব ছিল বলে নথিভুক্ত করেছেন। মোগল শাসনামলে জাহাজ নির্মাণ আরো ব্যপক পরিসর লাভ করে। তবে ১৭ শতকে তুরস্কের সুলতানের জন্য যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে চট্টগ্রাম জাহাজ নির্মাণ এলাকা ব্যবহৃত হয়েছিল। কাঠের যুদ্ধ জাহাজের পরিবর্তে লৌহ নির্মিত যুদ্ধ জাহাজ তৈরি করা শুরু হয় উনিশ শতকের শেষভাগে। উনিশ শতক পর্যন্ত চট্টগ্রাম ১০০০ টন ধারণক্ষমতার জাহাজ নির্মাণে সক্ষম ছিল। ১৯৭৯ সালে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার অনুদানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ জলযান সংস্থার জন্য ৮টি খাদ্য বহনযোগ্য জাহাজ নির্মাণ করে বেসরকারি জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ হাইস্পিড শিপইয়ার্ড।[৬][৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১৫-০৭-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০১-২১।
- ↑ http://www.theindependentbd.com/index.php?option=com_content&view=article&id=176058:mozena-sees-bright-future-of-shipbuilding-industry&catid=110:business-others&Itemid=156
- ↑ https://www.koreatimes.co.kr/www/news/issues/2013/10/211_63043.html
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ খন্দকার আক্তার হোসেন (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাহাজ নির্মাণ শিল্প"। সিরাজুল ইসলাম। জাহাজ নির্মাণ শিল্প। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি২৩, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১৩-১২-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০১-২১।