সুগন্ধীসার তেল
উদ্ভিজ্জ তেল |
---|
ধরন |
ব্যবহার |
উপাদান |
সুগন্ধীসার তেল (ইংরেজি: Essential oil) বলতে এক ধরনের ঘনীভূত জলবিকর্ষী তরল বোঝায়, যা কোনও উদ্ভিদ থেকে নিষ্কাশিত উদ্বায়ী (স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সহজেই বাষ্পীভূত হয় এমন) রাসায়নিক যৌগ ধারণ করে রাখে। সুগন্ধীসার তেলকে উদ্বায়ী তেল (volatile oils), বায়বীয় তেল (ethereal oils বা aetheroleum), কিংবা আরও সরলভাবে যে উদ্ভিদ থেকে সেগুলিকে নিষ্কাশন করা হয়, সেই উদ্ভিদের নামে ডাকা হতে পারে (যেমন লবঙ্গ তেল)। সুগন্ধীসার তেলে কোনও উদ্ভিদের যে সুগন্ধ থাকে, তার সারবস্তুটি ধারণ করা থাকে; অর্থাৎ এটিতে ঐ উদ্ভিদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসূচক সুগন্ধটি নিহিত থাকে।[১]
সুগন্ধীসার তেলগুলিকে সাধারণত পাতন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্কাশন করা হয় এবং প্রায়শই বাষ্পীয় পাতনকে কাজে লাগানো হয়। অন্যান্য নিষ্কাশন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে পিষে বের করা, দ্রাবক দ্বারা নিষ্কাশন, স্ফুমাতুরা, পরমসার তেল নিষ্কাশন, রজন টোকা, মোম গ্রথিতকরণ ও শীতল নিষ্পেষণ। সুগন্ধীসার তেলগুলিকে সুগন্ধী দ্রব্য, প্রসাধনী, সাবান, বায়ু সতেজকারক ও অন্যান্য দ্রব্যে, খাদ্য ও পানীয়ে সুগন্ধ যোগ করতে, এবং ধূপ ও অন্যান্য গৃহস্থালি পরিস্কারক দ্রব্যে সুগন্ধ যোগ করতে ব্যবহার করা হয়।
সুগন্ধীসার তেলগুলিকে প্রায়শই সুগন্ধী চিকিৎসা নামক এক ধরনের বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়, যেখানে সুগন্ধী যৌগগুলির রোগ নিরাময়কারী গুণ আছে বলে দাবি করা হয়। সুগন্ধী চিকিৎসার ফলে দেহমন শিথিল হতে পারে, তবে এগুলি আসলেই কোনও রোগ সারাতে কার্যকর কি না, তার সপক্ষে যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই।[২] সুগন্ধীসার তেলের বেঠিক ব্যবহারের কারণে অতিপ্রতিক্রিয়া (অ্যালার্জি), প্রদাহ ও ত্বকের চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হতে পারে, এবং বিশেষ করে শিশুরা এক্ষেত্রে বেশি আক্রান্তপ্রবণ হতে পারে।[৩][৪] যদি পান করা হয় বা ত্বকের মাধ্যমে শোষিত হয়, তবে সুগন্ধীসার তেলগুলি বিষাক্ত হতে পারে।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "essential oil"। Oxford English Dictionary (online, American English সংস্করণ)। ২০১৪-০৮-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-২১।
- ↑ Lee, Myeong Soo; Choi, Jiae Choi (২০১২)। "Aromatherapy for health care: an overview of systematic reviews"। Maturitas। 3 (71): 257–260। ডিওআই:10.1016/j.maturitas.2011.12.018। পিএমআইডি 22285469।
- ↑ Posadzki, P; Alotaibi, A; Ernst, E (২০১২)। "Adverse effects of aromatherapy: A systematic review of case reports and case series"। The International Journal of Risk & Safety in Medicine। 24 (3): 147–61। ডিওআই:10.3233/JRS-2012-0568। পিএমআইডি 22936057।
- ↑ ক খ "Essential oils: Poisonous when misused" (ইংরেজি ভাষায়)। US National Capital Poison Center। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-০১।