বিষয়বস্তুতে চলুন

হিউ ট্রাম্বল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হিউ ট্রাম্বল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
হিউ ট্রাম্বল
জন্ম(১৮৬৭-০৫-১২)১২ মে ১৮৬৭
কলিংউড, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু১৪ আগস্ট ১৯৩৮(1938-08-14) (বয়স ৭১)
হথর্ন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
উচ্চতা১.৯৩ মিটার (৬ ফুট ৪ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ-স্পিন
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার, অধিনায়ক
সম্পর্কজন ট্রাম্বল (ভাই)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫৯)
২১ জুলাই ১৮৯০ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৮ মার্চ ১৯০৪ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৮৮৭-১৯০৪ভিক্টোরিয়া বুশরেঞ্জার্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩২ ২১৩
রানের সংখ্যা ৮৫১ ৫৩৯৫
ব্যাটিং গড় ১৯.৭৯ ১৯.৪৭
১০০/৫০ ০/৪ ৩/২০
সর্বোচ্চ রান ৭০ ১০৭
বল করেছে ৮০৯৯ ৪৪০৬০
উইকেট ১৪১ ৯২৯
বোলিং গড় ২১.৭৮ ১৮.৪৬
ইনিংসে ৫ উইকেট ৬৯
ম্যাচে ১০ উইকেট ২৫
সেরা বোলিং ৮/৬৫ ৯/৩৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪৫/০ ৩২৯/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৪

হিউ ট্রাম্বল (ইংরেজি: Hugh Trumble; জন্ম: ১২ মে, ১৮৬৭ - মৃত্যু: ১৪ আগস্ট, ১৯৩৮) ভিক্টোরিয়া প্রদেশের হথর্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন। ১৮৯০ থেকে ১৯০৪ মেয়াদকালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ঘরোয়া ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া[]মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার ছিলেন। ডানহাতে অফ-স্পিন বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া দলকে দুই টেস্টে নেতৃত্ব দেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে চারজন বোলারের একজন হিসেবে দুইবার হ্যাট্রিক লাভ করেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

দীর্ঘদেহী ও শীর্ণাকৃতির অফ-স্পিনার ট্রাম্বল অন্যান্য স্পিনারদের তুলনায় খুবই দ্রুততার সাথে গতি আনতে পারঙ্গমতা দেখাতেন। উচ্চতা ও লম্বাটে গড়নের আঙ্গুলে তিনি তার সর্বোত্তম সফলতা আনয়ণ করেছেন। ইংল্যান্ডের নরম পীচে সর্বাধিক সফলতা পেয়েছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার শক্ত পীচে নিখুঁত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ বোলিংয়ে সক্ষম ছিলেন। এছাড়াও তিনি নির্ভরযোগ্য নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ও স্লিপে দক্ষ ফিল্ডার ছিলেন। ক্রিকেট খেলা নিয়ে ব্যাপক চিন্তা-ভাবনা করতেন ও বাস্তব কৌতুক ব্যক্ত করে দলীয় সঙ্গীসহ প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের কাছেও জনপ্রিয় ছিলেন।[]

১৮৯০ সালে ইংল্যান্ড সফরে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ববি পিলকে কট এন্ড বোল্ড করে খেলার একমাত্র উইকেট লাভ করেন।[] কিন্তু ১৮৯৬ সালে ইংল্যান্ড সফরের পূর্ব-পর্যন্ত দলে স্থায়ী আসন পাননি।[] ১৮৯৯ সালে ইংল্যান্ড সফরে ট্রাম্বল ১,১৮৩ রান ও ১৪২ উইকেট দখল করেন। কেবলমাত্র জর্জ গিফেন হাজার রান ও শত উইকেট লাভে ডাবল অর্জনে তার সামনে ছিলেন।[] জো ডার্লিং খামারের কাজে ব্যস্ত থাকায় ১৯০১-০২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কত্ব পান।

১৯০২ সালে ইংল্যান্ড সফরের পর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। কিন্তু ১৯০৩-০৪ মৌসুমে তিনি পুনরায় দলে ফিরে আসেন। তার খেলোয়াড়ী জীবনের শেষ টেস্টে নিজ শহর মেলবোর্নে দ্বিতীয় হ্যাট্রিক করেন।[]

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

ন্যাশনাল ব্যাংক অব অস্ট্রালেশিয়ায় কাজ করতেন তিনি। স্থানীয় শাখায় ব্যবস্থাপক হিসেবে থাকলেও ক্রিকেটের সাথে সখ্যতার কারণে ব্যাংকিং কার্যাবলীতে বিঘ্ন ঘটে। ১৯১১ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের সচিব হন। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের দর্শক ধারণ সক্ষমতা ৭০,০০০-এ রূপান্তর করেন। ৭১ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দেহাবসানের পূর্ব-পর্যন্ত এ পদে দায়িত্বে ছিলেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. CricketArchive Player Oracle, Retrieved 15 April, 2017
  2. Robinson, pp. 88–94.
  3. "England v Australia: Australia in England 1890 (1st Test)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-২৪ 
  4. "Cricketer of the year – 1897: Hugh Trumble"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৮৯৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-০৫ 
  5. "Test matches: Hat-tricks"Cricinfo Records। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-০৩ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

পাদটীকা

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
জো ডার্লিং
অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯০১-০২
উত্তরসূরী
জো ডার্লিং
রেকর্ড
পূর্বসূরী
জনি ব্রিগস
বিশ্বরেকর্ড - সর্বাধিক টেস্ট উইকেট লাভ
৩২ টেস্টে ১৪১ উইকেট (২১.৭৮)
রেকর্ড ধারণ: ২ জানুয়ারি, ১৯০৪ - ১৩ ডিসেম্বর, ১৯১৩
উত্তরসূরী
সিডনি বার্নস